লোকসানি বিআরটিসি মুনাফায়

Passenger Voice    |    ১০:০৮ এএম, ২০২৩-০৯-১০


লোকসানি বিআরটিসি মুনাফায়

সরকারি বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের মতো লোকসানে ধুঁকতে থাকা সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ঘুরে দাঁড়িয়েছে। হাজার কোটি টাকা ঋণের ভারে ন্যুব্জ প্রতিষ্ঠানটি এখন লাভের মুখ দেখেছে। ধারাবাহিক মুনাফা করছে। গত তিন বছরে বহরে নতুন বাস ও ট্রাক যোগ না হলেও আয় আড়াই গুণ বেড়েছে। একসময় আট মাস বকেয়া পড়লেও ৮৭৩ জন নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের পরও টানা আড়াই বছর নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন বিআরটিসির কর্মীরা। অপরাধের শাস্তিও পেতে হচ্ছে।

বিআরটিসির বদলে যাওয়ার চিত্র পাওয়া গেল প্রতিষ্ঠানটির নথিতে। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠার পর মাঝে কয়েক বছর বাদ দিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত নিয়মিত লোকসান গুনেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাস ও ট্রাক কেনায় সরকারি ও বিদেশি ঋণের ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। সরকারের কিনে দেওয়া বাস-ট্রাক চালিয়ে যে আয় হয়, তা দিয়ে চলতে হয় সংস্থাটিকে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৫৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা আয়ের বিপরীতে বিআরটিসির খরচ ছিল ২৬৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সেই বছর লোকসান ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ৯ মাস বেতন বকেয়া পড়ায় ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি রাজধানীর জোয়ার সাহারা ডিপোতে তালা দেন চালক-শ্রমিকরা। ১৬ মাসের বেতন বকেয়া পড়েছিল নারায়ণগঞ্জ ডিপোতে।

ঘুরে দাঁড়ানো শুরু

২০১৯-২০ অর্থবছরে বাস, ট্রাক, ওয়ার্কশপ এবং প্রশিক্ষণ থেকে ৩৪৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আয়ের বিপরীতে পরিচালন ব্যয় হয় ৩৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ফলে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা মুনাফা হয়। ওই মুনাফার কারণ ছিল ভারতের ঋণে (এলওসি) ৫৮১ কোটি টাকায় ৬০০টি বাস এবং ২১৭ কোটি টাকায় ৫০০টি ট্রাক কেনা। পরিচালনায় মুনাফা হলেও তখন পর্যন্ত ঋণের কিস্তি শোধ করতে পারেনি সংস্থাটি। 

২০২১-২২ অর্থবছর থেকে বিআরটিসি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই সময়ে বহরে নতুন বাস ও ট্রাক যুক্ত না হলেও ওই অর্থবছরে রেকর্ড ৪৭৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা আয় করে। বিপরীতে খরচ হয় ৪৪০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। মুনাফা হয় ৩৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এই রেকর্ড ভেঙেছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে। গত অর্থবছরে ৬৩১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আয় করেছে সংস্থাটি। খরচ হয়েছে ৫৮৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। মুনাফা হয়েছে ৪৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

সরকারি প্রতিষ্ঠান হয়েও বিআরটিসি কীভাবে মুনাফা করছে, তা জানতে সংস্থাটির মতিঝিলের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এখানকার চেহারাও বদলে গেছে। ভবনের নিচতলায় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মতো চকচকে অভ্যর্থনা কক্ষ তৈরি হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিশাল কক্ষটি নানা উপকরণে সুজ্জিত।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিআরটিসিতে যোগ দেন বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। তিনি জানালেন, চেয়ারম্যান পদে যোগদানের আগের ১৫ দিন পরিচয় গোপন করে ডিপোতে ডিপোতে ঘোরেন। ১১১টি সমস্যা চিহ্নিত করেন।

অপরাধের শাস্তি পেতে হয়

বিআরটিসিতে অনিয়ম-দুর্নীতির সাজার নজির ছিল না। সাজা দিলেও তা প্রত্যাহার হতো। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অনিয়ম প্রমাণিত হলেও ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট তিন কর্মকর্তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই সময়ে ছয়জনের শাস্তি কমিয়ে দেওয়া হয়। তবে এ নজির থেকে বেরোতে পেরেছে বিআরটিসি। গত আড়াই বছরে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাসহ ৩৭ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

২০২১ সালে বিআরটিসিতে ৮৭টি বিভাগীয় মামলা হয়। এতে ১৬ জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পদানবতি, বেতন কর্তনসহ বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয় ২৮ জনকে। ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ১৯ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। গত আড়াই বছরে ২১০টি মামলার ১৬৭টি নিষ্পত্তি হয়েছে। মোট ৬৮ জনকে পদানবতি, বেতন কর্তনসহ বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরেই ৪২টি মামলায় ২০ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, শাস্তি দেওয়া মূল উদ্দেশ্য নয়। অনিয়ম করে পার পাওয়া যাবে না– এই বার্তা দেওয়াই লক্ষ্য। তা পূরণও হচ্ছে। আগে মাসে বিআরটিসির ৬০-৬৫ বাস বছরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা গুনত। গত বছরে দু’বার জরিমানা হয়েছে।

ভাঙা গাড়ির জঞ্জালমুক্ত

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিআরটিসির বহরে বাসের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮২৪টি। কিন্তু সচল গাড়ি ছিল ১ হাজার ২১০টি। এর মধ্যে অনরুট অর্থাৎ সড়কে চলত মাত্র ৮৮৫টি। হাজারখানেক বাস অচল, নয়তো অলস বসেছিল। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিআরটিসির বাসের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫০টি। এর মধ্যে সচল ১ হাজার ২৪৮টি। অনরুট বাস অর্থাৎ সড়কে চলছে ১ হাজার ২০৩টি। লিজে চলছে ৩৮টি বাস।

৪৭৪টি বাস কোথায় গেল– প্রশ্নে বিআরটিসির চেয়ারম্যান জানালেন, অচল ও মেরামত অযোগ্য ছিল। বিক্রি করে দিয়ে জঞ্জাল কমিয়েছেন। তাজুল ইসলাম বলেন, এসব অচল বাস ডিপোতে জায়গা দখল করে রাখায় নতুন কেনা কোটি টাকার বাস রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে রাখতে হতো। রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হতো। অচলগুলো বিক্রি করায় নতুন বাস ডিপোতে সুরক্ষিত থাকে। এতে মেরামত খরচও কমেছে।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিআরটিসিতে ট্রাকের সংখ্যা ছিল ৫৯০টি। বর্তমানে আছে ৫৮৫টি। এর মধ্যে ৫০০টি চলছে। ৭৯টি মেরামত অযোগ্য। বিক্রি করে দেওয়া হবে।

গাড়ি চালানোর ‘অনীহা’ কেটেছে

বাস ও ট্রাকের ভাড়া আয়ের প্রধান উৎস হলেও বিআরটিসির গাড়ি চালাতে আগ্রহ ছিল না। ২০১৬ সালের ৬ আগস্টের নথি অনুযায়ী, ওই সময় সচল বাসের ১ হাজার ৪৯টি বাসের অর্ধেক দৈনিক সড়কে চলত। এর আগে দুই বছরে এক দিন সর্বোচ্চ ৮২১টি বাস পথে নেমেছিল। সর্বনিম্ন ৪০৬টি বাস চলার নজির আছে। বাকি ছয় শতাধিক বাস ডিপোতে অলস বসে থাকত। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একাধিকবার এ নিয়ে ক্ষোভ জানালেও ফল হয়নি।

অভিযোগ ছিল, বিআরটিসির কর্মকর্তারা বেসরকারি মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশে বাস বসিয়ে রাখতেন। সংস্থাটি সেই ধারা থেকে বের হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৯৬ শতাংশ বর্তমানে নিয়মিত সড়কে চলছে।

বিআরটিসির লাভের খবর জানানোর পর গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সামছুল হক বলেছেন, নিয়ম মেনে চললে লাভ করার কথা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কয়েকজন মালিক মিলে একটি বাস চালিয়ে  মুনাফা করেন। ২ হাজার বাস ও ট্রাক থাকার পরও বিআরটিসির লোকসান করার কারণ ছিল না। বসিয়ে রেখে ইচ্ছা করে লোকসান করা হতো।

ট্রাকের আয় বেড়েছে, বাসে মুনাফা

২০২০-২১ অর্থবছরে বাস চালিয়ে বিআরটিসি আয় করেছিল ২৩৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। বাসের সংখ্যা না বাড়লেও গত অর্থবছরে আয় করেছে ৪১১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বাস পরিচালনায় ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয়েছে ৩৮৬ কোটি ৫৫ লাখ। মুনাফা করেছে ২৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

ট্রাক থেকে আগেও মুনাফা করত বিআরটিসি। ২০২০-২১ অর্থবছরে ট্রাক থেকে সংস্থাটির আয় ছিল ১০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় করেছে ১৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি ২১ লাখ টাকা।

রাজধানীর কল্যাণপুর ডিপোর ম্যানেজার নূর-ই-আলম বলেছেন, গত আড়াই বছরে স্বচ্ছতা এসেছে। ব্যয় সংকোচন করা হয়েছে। তাই আয় বেড়েছে। নিয়মিত বেতন দিয়েও মুনাফা করা সম্ভব হয়েছে।

সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, বিআরটিসি ভালো করছে। তবে আরও ভালো করা সম্ভব।

গাড়ি বেড়েছে, কমেছে মেরামত খরচ

নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালে অনরুট ৮৮৫ বাসের নিয়মিত মেরামতে বছরে ৬৬ কোটি টাকা খরচ হতো। বর্তমানে ১ হাজার ২০০ বাসের নিয়মিত মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ ৪২ কোটি টাকা। ব্যয় কীভাবে কমল– প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিন নম্বর টায়ার লাগিয়ে এক নম্বরের বিল নেওয়া হতো। শ্রমিক-কর্মচারীদের খুব একটা দোষও নেই। তারা বেতন পেতেন না। অনিয়ম না করলে কীভাবে সংসার চালাবেন?’

২০১৬ সালের ২ জুলাইয়ের নথি অনুযায়ী, সেই বছর চট্টগ্রাম ডিপোতে ১৮ হাজার টাকার রং গাড়িতে লাগাতে ৫৩ হাজার টাকা খরচের ভাউচার জমা হয়। গাজীপুর ডিপোতে গাড়ি মেরামতে ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও বাস সচল ছিল না। ২০১৬ সালের এপ্রিলে মন্ত্রীর পরিদর্শনে তা হাতেনাতে ধরা পড়ে।

বিআরটিসির জন্য ২০১৯ সাল পর্যন্ত কেনা অধিকাংশ বাস ও ট্রাকের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাসের আয়ুষ্কাল ২০ বছর ধরা হলেও বিআরটিসির বাস পাঁচ বছরও টেকে না। ২০০৯ সালে ১২২ কোটি টাকায় ২৭৯টি বাস কেনা হয়। সেগুলোর ১২৫টি সচল। ২০১৩ সালে ২৮২ কোটি টাকায় আনা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ু কোম্পানির ২৫৫টি বাস। প্রতিটি বাসের দাম পড়ে কোটি টাকার বেশি। কারিগরি শাখার তথ্য অনুযায়ী, এর ৮১টি ছয় বছরের মধ্যে মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

৩৩ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ ৪০ হাজারে তৈরি

২০১৩ সালে ভারত থেকে কেনা ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাসের ৪৪টি বিকল হয়ে যায়। প্রতিটি বাসের দাম পড়েছিল ১ কোটি ১১ লাখ টাকা। তাজুল ইসলাম জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় মাত্র ছয়টি বাস সচল ছিল। গত বছর ২১টি আর্টিকুলেটেড বাস সচল করা হয়েছে। আরও আটটি সচলের অপেক্ষায়।

আর্টিকুলেটেড বাসের মাঝে রাবার বেলোস নামের জোড়া থাকে। এই জোড়া খুলে যাওয়ায় বাসগুলো বিকল হয়ে যায়। মেরামত সম্ভব হলেও রাবার বেলোস মেরামত করা যাচ্ছিল না। কারিগরি শাখা জানিয়েছে, প্রতিটি রাবার বেলোসের দাম ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। ভারত থেকে আনতে হয়। সেই রাবার বেলোস গাজীপুরের ওয়ার্কশপে বিআরটিসির পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল মো. জাহিদ হোসেনের টিম ৪০ হাজার ৬৯৯ টাকায় তা তৈরি করেছে। তাজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ওয়ার্কশপটিকে বিশ্বমানে উন্নীত করার সুযোগ রয়েছে।

পেনশনও মিলছে

বাস-ট্রাকের আয়ের টাকা প্রতিদিন জমা দেওয়ার নিয়ম বিআরটিসিতে মানা হতো না। ডিপো ম্যানেজাররা হাতে রাখতেন। ২০১৬ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, আট কোটি টাকার বেশি জমা হয়নি। ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সংস্থাটিতে বকেয়া বেতন ছিল ২০ কোটি ২১ লাখ টাকা। গত ৩০ জুন পর্যন্ত এর মধ্যে ১২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বকেয়া থাকার বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেছেন, এগুলো সব আগের। গত আড়াই বছরে মাসের ১ তারিখে বেতন হচ্ছে। আগের বকেয়াসহ অনেকে এখন একসঙ্গে দুই মাসের বেতন পাচ্ছেন।

চাকরি শেষে পেনশন গ্র্যাচুইটি না পাওয়া বিআরটিসিতে সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ২৩১ জন কর্মীর গ্র্যাচুইটির ২৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। এখনও বকেয়া ২২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তাজুল ইসলাম বলেছেন, আড়াই কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। বিআরটিসি যে ধারায় চলছে, তা অব্যাহত থাকলে কিছুই বকেয়া থাকবে না। চালক-শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ফলে তারা বৈধভাবেই বাড়তি টাকা পাচ্ছেন।

জনবল কাঠামো অনুযায়ী বিআরটিসিতে পদের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৯৩টি। এর মধ্যে শূন্য ২ হাজার ১৪২টি। আড়াই বছরে ৮৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকশ নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন থাকার তথ্য জানান তাজুল ইসলাম।

এত বিপুল জনবল নিয়োগ দিলে বেতন দিতে পারবেন কিনা– প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০২১ সালের আগে মাসে বেতন বাবদ খরচ ছিল সাড়ে ৬ কোটি টাকা। এখন তা সাড়ে ৯ কোটি টাকা। বিআরটিসির হাতে আট মাস বেতন দেওয়ার টাকা জমা রয়েছে। শুধু মুনাফা নয়, বর্তমানে মাসে ১০ লাখ টাকা করে ঋণ পরিশোধ করতে শুরু করেছে বিআরটিসি।


সূত্র: সমকাল

প্যা/ভ/ম